Monday, July 11, 2016

সাফ্যেলের কাহিনী





বোড়াল দক্ষিণ পশ্চিম মিনি আর.এল.আই 
২০১২ সালে আদমি প্রকল্পের সূচনা হয়।এই গ্রামের কিছুটা দূরে রূপনারায়ণ নদী। প্রকল্পের আগে এখানে খালের মাধ্যমে জল এলও উপযুত্ত জল সেচের  অভাবে বষায় ২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান এবং ৪ হেক্টর জমিতে বরো ধান চাষ হোত এছাড়া দু – একজন চাষী আলের উপর ভেন্ডী চাষ করতো।  

 আদমি প্রকল্পের আওতায় এই অঞ্চলটির অন্ত্র্ভূক্ত হওয়ার পর নিয়মিত যোগাযোগ,প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদানের মধ্য দিয়ে একটি মডেল জল ব্যবহারকারী সমিতি তৈরী করা সম্ভব হেয়েছে।এই সমিতিতে মহিলাদের উৎসাহ ও অংশগ্রহণ যথেষ উল্লেখযোগ্য। নিয়মিত সদস্য সদ্যসাদের নিয়ে মিটিং এর মাধ্যমে তারা ভব্যিষতে এগিয়ে চলার সুনিদিষ্ট পরিকল্পনা রচনা  করেছে যেমন সম্পদ সম্ভার, শষ্য পরিকল্পনা ও জল  ব্যবস্থাপনা।


উন্নত কৃষি প্রুযুক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে উন্নত জাতের ধান সূর্যমুখী,ভেন্ডী,ডাল প্রদর্শনী করা হয়। এতে উৎসাহিত হয়ে খরিফে উন্নত জাতের ২০ হেক্টর ধান, রবিতে ১২ হেক্টর সূর্যমূখী,৩ হেক্টর সরিষা,তিন হেক্টর ভেন্ডী ও ২ হেক্টর ডাল শষ্যর চাষ হয়। প্রি খরিফে তিল ও ভূট্টা চাষ হয়।
প্রকল্প চালু হওয়ার পরে ধানের ফলন ৩ শতাংশ,সরিষার ফলন ৪ শতাংশ ফলন এবং সূর্যমূখীর ফলন ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রকল্প থেকে পাওয়া পাওয়ার টিলার , স্প্রে মেশিন , ঝাড়াই মেশিন ভাড়া খাটিয়ে একদিকে যেমন রেট্  কমেছে এবং অন্যদিকে জল ব্যবহারকারী সমিতি ২০ হাজার টাকা আয় করেছে।
বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষের ফলে ফসল বৈচিএ্য এসেছে এবং শষ্য নিবিড়তা পরিবর্তন হয়েছে। চাষীরা জৈব কীটনাশক ও হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করে পোকা নিয়ন্ত্রন করতে শিখেছে।

প্রকল্পের আগে যেখানে বীঘা প্রতি আমন ধানে ১০০০ টাকা এবং বরো ধানে ১৫০০ টাকা আয় হোত। প্রকল্প চালু হওয়ার পর আমন ধানে ১৫০০, সূর্যমূখী থেকে ৫৫০০, সরিষা থেকে ৩৫০০,ভেন্ডী থেকে ৬৫০০ এবং ডাল শষ্য থেকে ৩০০০ টাকা আয় কোরেছে।
         সূর্যমূখী চাষ করে সেখান থেকে তেল তৈরী কোরে নিজেদের বাড়িতে ভোজ্য তেল হিসাবে ব্যবহার করছে। 
এই জল ব্যবহারকারী সমিতির দুই জন সদস্য গত ৮ ই এপ্রিল ২০১৬, দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লীষ মন্ত্র কের দ্বারা আয়োজিত ‘চতুর্থ ভারতীয় জল সপ্তাহ ২০১৬ সম্মেলনে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়। 

No comments:

Post a Comment